বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাচ্ছে রামপাল, কয়লা খালাস ব্যবস্থা এখনও পর্যাপ্ত নয়

Share Button

রিপোর্টার:-দৈনিক মুক্তকন্ঠ,
২১ সেপ্টেম্বর. ২০২২। সময : ১০ ,০০.PM.

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষের পথে। আগামী মাসেই উৎপাদনে যেতে পারে ভারত ও বাংলাদেশের এই যৌথ বিদ্যুৎকেন্দ্র। কিন্তু এখনও কয়লা খালাসের পর্যাপ্ত অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি। আমদানি করা কয়লা জাহাজ থেকে খালাসে দীর্ঘ সময় লাগছে। দিতে হচ্ছে বিলম্ব ফি। ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুই ইউনিট রয়েছে। ৬৬০ মেগাওয়াটের এক ইউনিটের জন্য দিনে প্রায় পাঁচ হাজার টন কয়লা পোড়াতে হবে।

সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত নদীপথের গভীরতা চার মিটারের কম। এতে মাদার ভেসেল কয়লা নিয়ে জেটিতে ভিড়তে পারে না। লাইটারে (ছোট জাহাজ) করে কয়লা প্রকল্প স্থানে আনতে হয়। ৫৫ হাজার টন ধারণক্ষমতার মাদার ভেসেলের কয়লা খালাসে লাইটারের ৪৫টি ট্রিপ প্রয়োজন। সাধারণত সাত দিনে কয়লা খালাসের কথা থাকলেও লাগছে প্রায় দেড় মাস। বিলম্ব শুল্ক্ক বাবদ অতিরিক্ত ১২ কোটি টাকা দিতে হচ্ছে।

সূত্র আরও জানায়, কয়লা খালাসের জন্য জেটির তিনটি কনভেয়ার বেল্টের মাত্র একটি চালু রয়েছে। এর মধ্যে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে সেটিও মাঝেমধ্যে বন্ধ থাকে। এ ছাড়া কয়লার শেড ও বর্জ্য নিস্কাশন ব্যবস্থা এখনও প্রস্তুত নয়।

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী বিদ্যুৎ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সাঈদ আকরাম উল্লাহ বলেন, একটি জেটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। চলতি মাসে আরেকটি জেটির নির্মাণকাজ শেষ হবে। আগামী দুই মাসের মধ্যে তৃতীয় জেটি চালু হবে। তিনি বলেন, তাঁরা আশাবাদী যে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হওয়ার আগে কয়লা খালাস সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

গত ৬ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যৌথভাবে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। আগামী অক্টোবরের শেষ নাগাদ প্রথম ইউনিট আর ২০২৩ সালের মার্চে দ্বিতীয় ইউনিট চালুর কথা রয়েছে।