কুমিল্লায় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মিছিলে পুলিশের বাধা, যুবলীগ-ছাত্রলীগের ধাওয়া, আহত ৪

Share Button

রিপোর্ট:-দৈনিক মুক্তকন্ঠ,
১৫ অক্টোবর. ২০২৩। সময :১০.০০.PM

কুমিল্লায় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে মহানগর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ধাওয়া দিলে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় মিছিলটি। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের নজরুল অ্যাভিনিউ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ধাওয়ার সময় পালাতে গিয়ে চারজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিষদের নেতারা।

[৩] কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক কাউন্সিলর সাদি বলেছেন, আমরা হামলা করিনি, বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে।

[৪] সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাসকে নিয়ে মুন্সিগঞ্জের মেয়র ফয়সাল বিপ্লবের গালিগালাজ, কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিনের দুর্গাপূজাকে কটাক্ষ করে মন্তব্য, কুড়িগ্রামের চারণ কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলা এবং বিভিন্ন জায়গায় পূজার প্রাক্কালে মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে ঐক্য পরিষদ।

৫] ঐক্য পরিষদের কুমিল্লা শাখার সাধারণ সম্পাদক তাপস বকশী বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে প্রথমে পুলিশ বাধা দেয়। পরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের মিছিলে ধাওয়া করে। এতে এক নারীসহ অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন দুর্গাপূজায় মদ খাওয়া নিয়ে কটূক্তি করায় আমরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।’

[৬] অভিযোগ সম্পর্কে জানতে মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ধরেননি। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের অন্য কোনো নেতাও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

[৭] স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঐক্য পরিষদের জেলা সভাপতি চন্দন রায়। সমাবেশ শেষে অংশগ্রহণকারীরা মিছিল নিয়ে কান্দিরপাড় পুবালী চত্বরের দিকে যাওয়ার পথে নজরুল অ্যাভিনিউ সড়কের কর ভবনের সামনে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অন্তত পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী মিছিলে ধাওয়া করে। এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

[৮] কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, ‘সংঘাত এড়াতে পুলিশ মিছিলটিকে কান্দিরপাড়ের পুবালী চত্বরে যেতে দেয়নি। কারণ, কান্দিরপাড়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছিল। আকস্মিক তারা মিছিল নিয়ে এসে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করেন। পরে আমরা পরিস্থিতি সামাল দিই।’

[৯] কুমিল্লা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, কান্দিরপাড়ে একটি মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এই মারামারির ঘটনায় যারাই জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।

[১০] কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আহতদের বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজখবর নিয়েছি। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

[১১] এ প্রসঙ্গে বক্তব্য নেয়ার জন্য বাহাউদ্দিন বাহারের সেল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না