রিপোর্টার:-দৈনিক মুক্তকন্ঠ,
২৪ ডিসেম্বর. ২০২১। সময : ০৭,০০AM
পর্যটক ধর্ষণ: আসামি সাতজন
এজাহারে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন আশিক, জয়, বাবু ও ছোটন। তাদের মধ্যে ছোটন জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার।
স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও তিন জনকে আসামি করে এই মামলা করেছেন।
নাম উল্লেখ করা আসামিরা হলেন আশিকুল ইসলাম আশিক, ইসরাফিল হুদা জয়, রিয়াজ উদ্দিন ছোটন ও বাবু।
এদের মধ্যে রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে র্যাব জানিয়েছে। তিনি ঘটনাস্থল আবাসিক হোটেল জিয়া গেস্ট ইন-এর ম্যানেজার।
মামলার অন্য আসামি কক্সবাজার শহরসহ জেলার অন্যান্য স্থানের বাসিন্দা। হোটেলের সিসি ক্যামেরার ভিডিও দেখে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে বলেও র্যাব জানিয়েছে।
ঢাকার যাত্রবাড়ী থেকে স্বামী ও আট মাসের সন্তনসহ ২৫ বছর বয়সী এই নারী বুধবার কক্সবাজার এসেছিলেন।
মামলাটি তদন্তের জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বুধবার বিকালে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে এক মার্কেটে ভিড়ের মধ্যে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথা-কাটাকাটি হয়।
পরে সন্ধ্যার দিকে পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার শিশু সন্তান ও স্বামীকে অটোরিকশায় করে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন যুবক।
আর তিন যুবক আরেকটি অটোরিকশায় করে ওই নারীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গলফ মাঠের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে।
ওই নারী বলছেন, ওই তিন যুবক তাকে পরে নিয়ে যায় জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে। তৃতীয় তলার একটি কক্ষে আটকে রেখে তাকে আরেক দফা ধর্ষণ করা হয়। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে ‘হত্যা করা হবে’ বলে হুমকি দিয়ে বাইরে থেকে রুম আটকে চলে যায় ওই তিন যুবক।
মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামিকে র্যাব কর্তৃক গ্রেপ্তারের তথ্য নানা মাধ্যমে শোনা গেলেও এখনও থানায় হস্তান্তর করা হয়নি বলে জানান পুলিশ সুপার।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খাইরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর র্যাব অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে আবাসিক হোটেল কক্ষ থেকে উদ্ধার করে। পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে পর্যটন গলফ মাঠ এলাকা থেকে স্বামী ও সন্তানকে উদ্ধার করা হয়।
“ঘটনায় সহায়তার অভিযোগে হোটেলটির ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
আবাসিক হোটেলটির সিসি ক্যামেরার ভিডিও দেখে তিন জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলেও তিনি জানান।