রিপোর্টার:-দৈনিক মুক্তকন্ঠ,
১০ জুন ২০২০। সময : ০২,১৫. PM
ডেস্ক রিপোর্ট ● ডা. ফেরদৌস খন্দকারের বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ এক জায়গায় স্থির থাকছে না, কিছুক্ষণ পরপর অ’ভিযোগের ধরন পাল্টে যাচ্ছে! এই ডাক্তারের বি’রুদ্ধে প্রথম অ’ভিযোগ শুনেছি, ক’রোনা উপলক্ষে আমেরিকায় যখন লকডাউন শুরু হয়। তখন অ’ভিযোগ ছিল তিনি আমেরিকায় কাকে ত্রাণ দিচ্ছেন, সেখানি কি গরিবলোক আছে ইত্যাদি।
আমেরিকায় অনেক অ’বৈধ বাংলাদেশি, নেপালি ও বিভিন্ন দেশের অ’বৈধ অভিবাসী আছেন যাদের অনেকেই মানবেতর জী’বনযাপন করেন কিন্তু আমেরিকা ছেড়ে যান না! তাদের এবং বহু ছাত্রকে অর্থসহায়তা এবং অনেককেই উপহারের নামে এক সাথে অন্তত এক মাসের খাদ্য দিয়েছিলেন এই মানুষটি।
এ সময় আমিও আমেরিকায়, তবে নিউ ইয়র্কে নয়, ওয়াশিংটন ডিসিতে। বি’পদে মানুষের পাশে দাঁড়ানো মানুষের প্রতি আমার সব সময় আগ্রহ ও শ্রদ্ধাবোধ কাজ করে বলে, আমি উনার সাথে ফোন করে কথা বলি।
কিছুদিন পর দেখলাম বাংলাদেশের কিছু আওয়ামী লীগ কর্মী ইনবক্সে ছড়াচ্ছে, এই লোক কোন ডাক্তার না, উনার সার্টিফিকেট ভূ’য়া! পরবর্তীতে আমেরিকা আওয়ামী লীগের সিলেটিদের একাংশের প্রচারণায় দেখি, ফেরদৌস খন্দকার ডাক্তারি চাকরি পাননি, উনার কোন চেম্বার নাই!
পরবর্তীতে উনি যখন ক’রোনাকালে সা’হসিকতার সাথে বাংলাদেশি আমেরিকানদের ঘরে ঘরে গিয়ে চিকিৎসা দিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেন- তখন আমি উনাকে আবারো ফোন করি এবং বলি যে আপনি কিন্তু সা’বধানে থাকবেন ক’রোনা কিন্তু ডাক্তারদের ও ধরে!
জবাবে উনি বললেন, আমি গত দু সপ্তাহ শুধু ভিডিও ছেড়েছি, বাইরে যাইনি এবং খেয়াল করলে দেখবেন ভিডিওতে আমি প্রায়ই কাশি দিচ্ছি আমি নিজেই তখন ক’রোনা আ’ক্রান্ত ছিলাম তাই আপতত আমি আর আ’ক্রান্ত হওয়ার তেমন সম্ভাবনা নেই।
এর পর দেখলাম তিনি বাংলাদেশে সাবেক ছাত্রনেতা শাহজাদা মহিউদ্দিনের মাধ্যমে পু’লিশের আ’ইজি সাহেবের কাছে মাস্ক ইত্যাদি পাঠিয়েছেন। তখন আমি ফোন করে বললাম কুমিল্লাতেও কিছু দিতে উনি আমার কথামতো কুমিল্লা শহরে কিছু মাস্ক, কিছু খাদ্য ও অর্থ দেন যা কুমিল্লায় বিতরণ করা হয়েছে।
আমেরিকায় ক’রোনা কমে আসছে একই সময়ে বাংলাদেশে কিছুটা বাড়ছে দেখে তিনি বাংলাদেশে ঢাকায় একটি এবং কুমিল্লায় একটি ফিল্ড হাসপাতাল করার ইচ্ছা নিয়ে বাংলাদেশে যান। তখন দেখলাম Bangla Insider নামক একটি অপরিচিত পত্রিকা নিউজ করেছে, ফেরদৌস খন্দকার মুস্তাকের ভাগীনা!
তারপর ডিবিসি টিভিতে বলা হলো তিনি কর্নেল রশিদের খালতো ভাই, তিনি সাবেক ছাত্রদল নেতা, তারেক রহমানের ডোনার, সজিব ওয়াজেদ জয়ের হ’ত্যা প্রচে’ষ্টাকারীর ঘনিষ্ঠ ইত্যাদি! এরপরে যখন দেখা গেল এসব অ’ভিযোগ সব কয়টা মি’থ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অ’পপ্রচার, তখন আবার একই চক্র বলছে, নিউ ইয়র্কে এই ফেরদৌস খন্দকার বাংলাদেশি আমেরিকানদের ক’রোনায় আ’ক্রান্ত করেছেন তিন নিজের করোনার কথা গো’পন রেখেছিলেন!
নতুন অ’ভিযোগ অ’পপ্রচারে দেখা যাচ্ছে, ডাক্তারদের ভোটের দিনে তিনি বিএনপি- জামায়াতের সভাপতি প্রার্থীর সাথে কথা বলছেন অতএব উনার কারণেই অই লোক ভোটে পাশ করেছে!
আমি নিজে উকিল বলে জানি যে, উকিলদের ভোটের দিনে আমি নিজেও বিএনপি প্রার্থীর সাথেও কথা বলি। এদের ক্যাম্পে গিয়ে চা খাই, ওরাও আসে আমাদের তাঁবুতে। এক সাথে কাজ করার কারণে রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও উকিল এবং ডাক্তারদের মনের দূরত্ব আসলে খুব বেশি থাকে না।
উকিলদের উকিলের প্রতি এক ধরনের টান থাকে, এ বিষয়টি ডাক্তার সাংবাদিক এবং পু’লিশের মধ্যেও আছে! ভোটের দিন আমরা একে অন্যের সাথে কুশল বিনিময় করলেও ভোট সবাই জায়গামতোই দেয়! কিছু কাটাকাটিও থাকে, তবে খুব গো’পনে!
সর্বশেষ অ’পপ্রচার হচ্ছে ডা. ফেরদৌস একজন যৌ’ন রোগ চিকিৎসক, তাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ দিলে বিরাট বদনাম হয়ে যাবে! ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকারের বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ বারবার পরিবর্তন হওয়ার পেছনে আমার মনে হচ্ছে নিশ্চয় কোন রহস্য আছে। এতে এই প্রচারের পেছনের কারিগরদের আমার পছন্দ হয়, বিরাট কোন কামেল আদমি হবে!
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
লেখক: যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ।