রিপোর্টঃ-মোঃ সফিকুর রহমান সেলিম
ঢাকা, ১৮ অক্টোবর ২০১৪।
ঢাকা, ১৮ অক্টোবর ২০১৪।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দুই বাংলাদেশি কিশোর অনুপ্রবেশকারীকে শিশু-কিশোর অপরাধীদের আবাসে অন্যায়ভাবে আটক রাখা নিয়ে ভারতের মানবাধিকার কমিশনে নালিশ জানিয়েছে একটি সংগঠন।
সীমান্ত অঞ্চলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলি নিয়ে সরব ‘মাসুম’ নামের ওই সংগঠনটি বলছে, দুজনেই আমলাতান্ত্রিক লাল ফিতের ফাঁসে পড়ে নিজেদের দেশে ফিরতে পারছে না।
এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ আর বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলে বহু শিশু, মহিলা আর পুরুষ অনুপ্রবেশকারীর সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও নিজের দেশে ফিরতে পারছেন না একই কারণে, বলছে সংগঠনটি।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে লেখা অভিযোগে মাসুম বলছে, প্রায় পাঁচ বছর আগে বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার বাসিন্দা স্বপন বর্মন তার বাবা মায়ের সঙ্গে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করছিল – নিজের কাকার বাড়ীতে যাওয়ার জন্য। তখন তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র স্বপনকে পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে আটক করে বি এস এফ। এক বছর শিশু-কিশোর অপরাধী আবাসে কাটানোর সাজা শেষ হয়ে গেলেও এখনও স্বপন বর্মন নিজের দেশে ফিরতে পারে নি – যদিও তার বাবা-মা সাজার মেয়াদের শেষে বাংলাদেশে ফিরে গেছেন।
অন্য একটি অভিযোগ করা হয়েছে যে বছর তেরো বয়সী রণি মিঞার নামে সে-ও পঞ্চগড়ের বাসিন্দা। একটি মানব পাচার চক্র রণি মিঞা আর তার বড় দিদিকে সীমান্ত পার করিয়ে নিয়ে এসেছিল গত বছর। এর ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অমান্য করেই আটক করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ মাসুমের।
মাসুমের প্রধান কিরীটি রায়ের কথায়, “আড়াই বছর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের পরিষ্কার নির্দেশ দিয়েছিল যে মহিলা আর শিশু-কিশোর অনুপ্রবেশকারীরা ধরা পড়লে গ্রেপ্তার করে বিদেশী আইনের ১৪ নম্বর ধারায় মামলা করা যাবে না। খুব তাড়াতাড়ি তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে হবে। কিন্তু মুশ্কিল হল না বি এস এফ না রাজ্য পুলিশ – কেউই ওই নির্দেশ মানে নি – এটা তো স্পষ্ট।“
নির্দেশ না মানলে শাস্তি দেওয়া হলে সব বাহিনী-ই কেন্দ্রীয় নির্দেশ মানতে বাধ্য হত বলে মন্তব্য মি. রায়ের।
তিনি আরও বলছিলেন যে ওই দুই কিশোরের ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ থেকে তাদের নাম-ঠিকানা নিশ্চিত করার তথ্য আসে নি, তাই অন্যায় ভাবে তাদের আটক রাখা হয়েছে। এরকম আরও বহু মানুষ পশ্চিমবঙ্গ আর বাংলাদেশের জেলগুলিতে আটক রয়েছেন যাদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, অথচ আমলাতান্ত্রিক দেরীর জন্য দেশে ফিরতে পারছেন না।
“দুই দেশের সরকারই বিষয়টা জানে, অথচ কারও কোনও চেষ্টা নেই এই সমস্যাটা সমাধান করার, তথ্য আদান প্রদানের প্রক্রিয়াটা সহজ করার। ইন্টারনেটের যুগে নাম ঠিকানা নিশ্চিত করা বা দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ করা তো কয়েক সেকেন্ড সময়ের ব্যাপার। অতি সামান্য সময়ের মধ্যেই দুই সরকার তথ্য আদান প্রদান করতে পারে। তাহলে ভিন দেশের জেলে দীর্ঘদিন ধরে আটক থাকতে হয় না ওই সাধারণ মানুষগুলোকে,” মন্তব্য কিরীটি রায়ের।
মাসুমের দায়ের করা দুটি অভিযোগকেই আমলে নিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চেয়ে সরকার আর শিশু-কিশোর অপরাধী আবাসগুলির কাছে নোটিস পাঠিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
সীমান্ত অঞ্চলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলি নিয়ে সরব ‘মাসুম’ নামের ওই সংগঠনটি বলছে, দুজনেই আমলাতান্ত্রিক লাল ফিতের ফাঁসে পড়ে নিজেদের দেশে ফিরতে পারছে না।
এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ আর বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলে বহু শিশু, মহিলা আর পুরুষ অনুপ্রবেশকারীর সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও নিজের দেশে ফিরতে পারছেন না একই কারণে, বলছে সংগঠনটি।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে লেখা অভিযোগে মাসুম বলছে, প্রায় পাঁচ বছর আগে বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার বাসিন্দা স্বপন বর্মন তার বাবা মায়ের সঙ্গে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করছিল – নিজের কাকার বাড়ীতে যাওয়ার জন্য। তখন তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র স্বপনকে পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে আটক করে বি এস এফ। এক বছর শিশু-কিশোর অপরাধী আবাসে কাটানোর সাজা শেষ হয়ে গেলেও এখনও স্বপন বর্মন নিজের দেশে ফিরতে পারে নি – যদিও তার বাবা-মা সাজার মেয়াদের শেষে বাংলাদেশে ফিরে গেছেন।
অন্য একটি অভিযোগ করা হয়েছে যে বছর তেরো বয়সী রণি মিঞার নামে সে-ও পঞ্চগড়ের বাসিন্দা। একটি মানব পাচার চক্র রণি মিঞা আর তার বড় দিদিকে সীমান্ত পার করিয়ে নিয়ে এসেছিল গত বছর। এর ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অমান্য করেই আটক করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ মাসুমের।
মাসুমের প্রধান কিরীটি রায়ের কথায়, “আড়াই বছর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের পরিষ্কার নির্দেশ দিয়েছিল যে মহিলা আর শিশু-কিশোর অনুপ্রবেশকারীরা ধরা পড়লে গ্রেপ্তার করে বিদেশী আইনের ১৪ নম্বর ধারায় মামলা করা যাবে না। খুব তাড়াতাড়ি তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে হবে। কিন্তু মুশ্কিল হল না বি এস এফ না রাজ্য পুলিশ – কেউই ওই নির্দেশ মানে নি – এটা তো স্পষ্ট।“
নির্দেশ না মানলে শাস্তি দেওয়া হলে সব বাহিনী-ই কেন্দ্রীয় নির্দেশ মানতে বাধ্য হত বলে মন্তব্য মি. রায়ের।
তিনি আরও বলছিলেন যে ওই দুই কিশোরের ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ থেকে তাদের নাম-ঠিকানা নিশ্চিত করার তথ্য আসে নি, তাই অন্যায় ভাবে তাদের আটক রাখা হয়েছে। এরকম আরও বহু মানুষ পশ্চিমবঙ্গ আর বাংলাদেশের জেলগুলিতে আটক রয়েছেন যাদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, অথচ আমলাতান্ত্রিক দেরীর জন্য দেশে ফিরতে পারছেন না।
“দুই দেশের সরকারই বিষয়টা জানে, অথচ কারও কোনও চেষ্টা নেই এই সমস্যাটা সমাধান করার, তথ্য আদান প্রদানের প্রক্রিয়াটা সহজ করার। ইন্টারনেটের যুগে নাম ঠিকানা নিশ্চিত করা বা দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ করা তো কয়েক সেকেন্ড সময়ের ব্যাপার। অতি সামান্য সময়ের মধ্যেই দুই সরকার তথ্য আদান প্রদান করতে পারে। তাহলে ভিন দেশের জেলে দীর্ঘদিন ধরে আটক থাকতে হয় না ওই সাধারণ মানুষগুলোকে,” মন্তব্য কিরীটি রায়ের।
মাসুমের দায়ের করা দুটি অভিযোগকেই আমলে নিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চেয়ে সরকার আর শিশু-কিশোর অপরাধী আবাসগুলির কাছে নোটিস পাঠিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।