ইয়াবা একটি মরণনেশা এর সম্পর্কে নিজে সচেতন হয়ে অন্যকেও সতর্ক রাখুন
রিপোর্টঃ-মোঃ সফিকুর রহমান সেলিম
ঢাকা, ১৩ অক্টোবর ২০১৪।
নিয়মিত ইয়াবা সেবন করতেন তৎকালীন জার্মান সেনানায়ক অ্যাডলফ হিটলার। কথাটা শুনে হয়তো পাঠক বলতে পারেন, ইয়াবা তো সেদিন আবিষ্কৃত হলো তাহলে হিটলার কীভাবে তা সেবন করতেন? হ্যাঁ পাঠক, হিটলার ইয়াবা সেবন করতেন এবং তার জীবনের শেষের দিকে বাংকারে থাকাকালীন প্রায় প্রতিদিন ইয়াবা সেবন করতেন নাকি মানসিক চাপ কমানোর জন্য। হিটলারের ইয়াবা সেবনের সত্যতা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়ে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা ৪৭ পৃষ্ঠার একটি নথি প্রকাশ করেছে।
নথিতে দেখা যায় হিটলার প্রায় ৭৪ রকমের মাদক সেবন করতেন। আর সেই মাদকদ্রব্যের মধ্যে অন্যতম ছিল ক্রিস্টাল মেথ। একেক দেশে এই মাদকের একেক নাম। যেমন যুক্তরষ্ট্রে এই মাদকটিকে বলা হয় ‘ডেসোজিন’। তাৎক্ষণিক অবসাদগ্রস্ততা, যৌন অক্ষমতা, মানসিক চাপ কমাতে এবং শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে এই মাদক ব্যবহৃত হয়। তবে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মারাত্মক। দীর্ঘদিন এই মাদক সেবনের ফলে মস্তিষ্কসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গ ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এই ক্রিস্টাল মেথেরই আধুনিক সংস্করণ বর্তমানের ইয়াবা।
১৯৪৩ সালে ইতালির তৎকালীন সেনানায়ক মুসোলিনীর সঙ্গে বৈঠকের আগে হিটলার ক্রিস্টাল মেথ সেবন করেছিলেন বলে জানা যায়। সেই বৈঠকে হিটলার টানা দুইঘণ্টা বক্তৃতা দিয়েছিলেন। এছাড়াও একই দিনে হিটলার ভিন্ন ভিন্ন সময়ে নয়টি ইনজেকশন নিয়েছিলেন শরীরে। যার মধ্যে অন্যতম ছিল ভিটামুলেটিন।
নথিতে আরো বলা হয়, শেষের দিকে জার্মানির ‘সোমে’ অঞ্চলের যুদ্ধে হিটলার তার পৌরুষত্ব হারিয়েছিলেন। তবে চ্যানেল ফোরের প্রকাশিত আরেক নথিতে দেখা যায়, হিটলার জন্মগতভাবেই পুরুষাঙ্গের ত্রুটি নিয়ে জন্মেছিলেন। তাই তার দীর্ঘ জীবনের বেশিরভাগ সময়েই বিভিন্ন মাদকে আসক্ত ছিলেন।
১৯৪৫ সালের নভেম্বর মাসে হিটলারকে বাধ্য হয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয়েছিল। তার তৎকালীন চিকিৎসক ড. থিওডর মোরেল জানিয়েছিলেন, এক কথায় তিনি ছিল একজন পারভার্ট। তার পুরুষাঙ্গে কোনো সাড়াই ছিল না। তবে তার পাকস্থলীতেও সমস্যা ছিল। এজন্য তাকে মুতাফ্লোর নামে একটি ওষুধ দেয়া হয়েছিল। এছাড়াও তার শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার জন্য তাকে ব্রোম-নারভ্যাকিট, মরফিন, সেমন জাতীয় ওষুধ দেয়া হয়ছিল। তবে তার অবসাদগ্রস্ততার জন্য তাকে দেয়া পারভিটিন পিলটিই তিনি বেশি সেবন করতেন।
তিনি আরো জানান, ওই ওষুধগুলোর মধ্যে কিছু ছিল বিষাক্ত। দীর্ঘদিন সেবন করলে তা ভালোর বদলে খারাপ প্রতিক্রিয়া বয়ে আনবে শরীরে।