রিপোর্টঃ-মোঃ সফিকুর রহমান সেলিম ঢাকা, ১২ অক্টোবর ২০১৪।
হুদহুদের ঘূর্ণি হাওয়া আর ঝড়ো বৃষ্টি দুমড়ে-মুচড়ে দিয়েছে ভারতের পূর্ব উপকূলের অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িষ্যা। সাইক্লোনের আঘাতে এ পর্যন্ত পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছেন। সাইক্লোনটি রোববার সকাল দশটার দিকে ধেয়ে আসে এবং দুপুরের দিকে হামলে পড়ে উপকূল এলাকায়। সাইক্লোনে পূর্ব উপকূলের জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে।
সাইক্লোন লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে অন্ধপ্রদেশ ও ওড়িষ্যার এলাকা। ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হওয়া সাইক্লোনের আঘাতে শতাধিক গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি উৎপাঠিত হয়েছে, বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এলাকাগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ। এছাড়া ভারী বৃষ্টিতে ভিজাগ গ্রামে ভূমি ধসের সৃষ্টি হয়েছে।
হায়দারাবাদ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক কে শিতারাম বলেছেন,‘‘পরবর্তী দু-তিন ঘণ্টার ভেতর আরো ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে সাইক্লোনটি।”
নিহত পাঁচজনের ভেতর একজন ভিশাখাপত্তনের বাসিন্দা। সাইক্লোনের আঘাতে ভবন ধসের নিচে পড়ে তিনি হয়েছেন। নিহত অপরজন শ্রিখাকুলাম জেলার বাসিন্দা। ভারী বৃষ্টিতে গাছ ধসের নিচে চাপা পড়ে লোকটি নিহত হয়।
সাইক্লোন মোকাবেলায় অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা সরকার শনিবারই হাজার-হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরিয়ে নেয়া হয়।
নয়া দিল্লির আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক লক্ষ্মণ সিংহ রাঠোর বলেন, ‘‘সাইক্লোনটি ঘণ্টায় ১৭০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার বেগে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আঘাত হানে। আর এর গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৯৫ কিলোমিটার ছিল।’’
তিনি বলেন, ‘‘পরবর্তী ছয় ঘন্টার পর সাইক্লোনের বেগ অর্ধেকে নেমে আসবে। সাইক্লোনটি ভিজাগ গ্রামে আঘাত হানার সময় সমুদ্রের ঢেউ এর উচ্চতা ছিল ১.৫ মিটার।” ১৯৯৯ সালে ভারতের পূর্ব উপকূলে সাইক্লোনের আঘাতে প্রায় ১০ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছিল। – ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।